অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গায় গত তিনদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করার পর কিছুটা উন্নতি হয়েছে তাপমাত্রার। কিছুটা তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের চোখ রাঙানি।
রোববার সকাল ৯টায় জেলায় ১৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই রেকর্ড ভেঙে শনিবার হয় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিললেও তাতে নেই কোনো উত্তাপ। ফলে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে কয়েকগুণে।
শীতে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনজীবন। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে, জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়ে গেছে শিশু ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৬০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও শীতজনিত বিভিন্ন রোগ নিয়ে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে ২১ হাজার কম্বলসহ শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে পৌর এলাকার বেলগাছি এলাকায় শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিক বিতরণ শুরু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, গত ৩ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ রোববার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
Leave a Reply